অনার্স, মাস্টার্স ও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি, পার্থক্য ও সফলতার কৌশল

 অনার্স, মাস্টার্স ও চাকরি ভাইভার প্রস্তুতি, পার্থক্য ও সফলতার কৌশলসমূহ


ভূমিকা: ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষা শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ধাপ নয়, বরং এটি একজন প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস, জ্ঞান ও উপস্থিত বুদ্ধির প্রতিফলন। অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের ভাইভা যেমন একাডেমিক জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য নেওয়া হয়, চাকরির ভাইভা তেমনি বাস্তব জীবনের দক্ষতা ও যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য নেওয়া হয়।

অনার্স, মাস্টার্স ও চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি

আজ আমরা অনার্স-মাস্টার্স ও চাকরির ভাইভার মধ্যে পার্থক্য, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, সাধারণ প্রশ্ন, এবং সফলতার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


অনার্স ও মাস্টার্স ভাইভা কী?

অনার্স বা মাস্টার্স ভাইভা মূলত একাডেমিক মৌখিক পরীক্ষা, যা সাধারণত থিসিস, গবেষণা বা চূড়ান্ত পরীক্ষার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়।

এতে শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, গবেষণার বোঝাপড়া, বইপত্রে পারদর্শিতা এবং ব্যক্তিত্ব যাচাই করা হয়।


মূল উদ্দেশ্য:

১. বিষয়বস্তুর উপর শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করা

২. বিশ্লেষণ ও যুক্তিবোধ পরীক্ষা করা

৩. গবেষণা বা থিসিসের বোঝাপড়া দেখা

৪. প্রকাশভঙ্গি ও আত্মবিশ্বাস মূল্যায়ন করা হয়।


অনার্স ও মাস্টার্স ভাইভার সাধারণ কাঠামো

১. নিজের পরিচয়: নাম, বিভাগ, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যক্ষের নাম


২. বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন: তোমার মেজর সাবজেক্ট থেকে মৌলিক প্রশ্ন করা হতে পারে অথবা তোমার কোন বিষয়টি সবচেয়ে ভালো পরীক্ষা দিযেছো সে বিসয় হতে প্রশ্ন করা হতে পারে।


৩. বইয়ের নাম ও লেখক: পরীক্ষক জানতে চাইতে পারে তোমার কোর্স বইগুলোর নাম বলো।


৪. শিক্ষকদের নাম বা অধ্যক্ষের নাম: যেমন: “তোমাদের কলেজের অধ্যক্ষ কে?” বা “তোমার সুপারভাইজারের নাম কী?” “তোমার ডিপার্টমেন্ট/বিভাগীয় প্রধানের নাম কি”


৫. গবেষণা বা থিসিস সম্পর্কিত প্রশ্ন: গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, ফলাফল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে যেমন- অনার্স, মাস্টার্স এ টার্ম পেপার নামে একটি গবেষণা কর্ম আছে সেখান ্রেতকে প্রশ্ন করতে পারে।


অনার্স-মাস্টার্স ভাইভায় যে বিষয়গুলি জোর দেওয়া হয়-

  1. আত্মবিশ্বাস,
  2. পরিষ্কারভাবে চিন্তা প্রকাশ,
  3. কলেজের নাম, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রদান ও শিক্ষকদের নাম মনে রাখতে হবে।
  4. নিজের পরিচয় সুন্দরভাবে অনুশীলন করতে হবে
  5. বইয়ের জ্ঞান নিজের ভাষায় উপস্থাপন করার দক্ষতার তৈরি করতে হবে।
  6. বিষয়ভিত্তিক বইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। ক বিভাগ বা এক কথায় উত্তর প্রশ্ন গুলি সুন্দরভাবে মুখস্ত করতে হবে।।
  7. থিসিস বা প্রজেক্ট ভালোভাবে জানো।


চাকরির ভাইভা কী?

চাকরির ভাইভা হলো প্রফেশনাল ইন্টারভিউ, যেখানে যাচাই করা হয়,

প্রার্থীর দক্ষতা,

আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা,

কাজের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা।

এখানে একাডেমিক তথ্য নয়, বরং প্র্যাকটিক্যাল ও পার্সোনাল স্কিল-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।


চাকরির ভাইভার সাধারণ প্রশ্ন

১. নিজের সম্পর্কে বলুন।

২. কেন এই চাকরিটা করতে চান?

৩. আপনার শক্তি বা অভিজ্ঞতা কী?

৪. আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনি কী জানেন?

৫. আপনি চাপের মধ্যে কাজ করতে পারবেন কী?

৬. আগামী পাঁচ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

৭. একাডেমিক জ্ঞান আপনার কাজে কীভাবে সাহায্য করবে?


উত্তরের নিয়ম: সংক্ষিপ্ত, আত্মবিশ্বাসী ও বাস্তবসম্মত উত্তর দাও।


ভাইভার সময় আচরণ ও পোশাক পরিচ্ছদ

১. মার্জিত ও পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে।

২. বিনয়ী ও স্পষ্টভাষী হতে হবে।

৩. চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে।

৪. হাসিমুখে উত্তর দেবে।

৫. পরীক্ষকের প্রশ্নের দিকে মনোযোগ রাখবে।

৬. ফোন নিয়ে প্রবেশ করবে না যদি প্রবেশ করো তবে অবশ্যই সেটি বন্ধ রাখবে।



চাকরির ভাইভার জন্য:

নিজের CV মুখস্থ রাখো।

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও কাজ সম্পর্কে জানো।

ইংরেজিতে পরিচয় দেওয়ার অনুশীলন করো।

চলতি বিষয় ও সাধারণ জ্ঞানে আপডেট থাকো।



অনার্স/মাস্টার্স ও চাকরির ভাইভার পার্থক্য

বিষয়                অনার্স/মাস্টার্স ভাইভা                         চাকরির ভাইভা

উদ্দেশ্য              : একাডেমিক জ্ঞান যাচাই                     দক্ষতা যাচাই

প্রশ্নের ধরন        : বিষয়ভিত্তিক ও বইকেন্দ্রিক               সাধারণ জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস

তথ্য দরকার      : বই, শিক্ষক, কলেজ, থিসিস             প্রতিষ্ঠান, পদ, স্কিল ও অভিজ্ঞতা

পরীক্ষক            : শিক্ষক ও বোর্ড                             নিয়োগ কমিটি

ভাষা               একাডেমিক বাংলা/ইংরেজি                 পেশাগত ভদ্রভাষা

লক্ষ্য                 : শিক্ষাগত মূল্যায়ন                         কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন


সফলতার টিপস

সময়ানুবর্তী হও 

আত্মবিশ্বাসী থেকো

মুখস্থ উত্তর নয়, নিজের ভাষায় বলো

হাসিমুখে বোর্ডে প্রবেশ করো

ভুল হলে স্বীকার করো


উপসংহার: অনার্স-মাস্টার্স ভাইভা তোমার একাডেমিক অর্জনের প্রতিফলন, আর চাকরির ভাইভা তোমার পেশাগত জীবনের প্রথম ধাপ।

দুই ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাস, প্রস্তুতি ও উপস্থিত বুদ্ধিই সফলতার চাবিকাঠি।

মন দিয়ে প্রস্তুতি নাও, নিজের যোগ্যতাকে উপস্থাপন করো সফলতা তোমারই হবে।

ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সহ সম্বন্ধ কি? সহ-সম্পর্ক ও নির্ভরণকের মধ্যে পার্থক্য লিখ

ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সহ সম্বন্ধ কি? সহ-সম্পর্ক ও নির্ভরণকের মধ্যে পার্থক্য লিখ

ভূমিকা: কোন চলক যদি প্রাকৃতিক বা যে কোন কারণে পরিবর্তিত হয় কায়লে তার প্রভাবে তার সাথে সামাজিকভাবে সংশ্লিষ্ট লোকগুলোও আপনা আপনি পরিবর্তিত প্রায়। সামাজিক প্রভাবগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয়। তাদের সম্পর্ক সহজাত। তবে যে পরিবর্তন ধনাত্মক যা ঋণাত্মক যে কোনটিই হতে পারে

ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সহ সম্বন্ধ কি? সহ-সম্পর্ক ও নির্ভরণকের মধ্যে পার্থক্য

ধনাত্মক সহনম্বন্ধ (possitive correlation): পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি চলাকের মধ্যে যদি একটি চলকের পরিবর্তনের সাতে সাথে অপর চলকটিও একই দিকে একই গতিতে পরিবর্তিত হয় তাহলে তাকে ধনাত্মক সহসম্বন্ধ বলে।  উদাহরণস্বরূপ, বেকারত্বের যাত্রা বৃদ্ধি পেলে সন্ত্রাসের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এখানে বেকারত্ব সন্ত্রাস দুটি চলকেরই মাত্রা  একমুখী

ঋণাত্মক সহ সম্বন্ধ (Negative correlation): পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত দুটি চলকের মধ্যে যদি একটি চলক একদিকে হয়  দিতে এবং অপর চলকটি বিপরীত দিকে পরিবর্তিত হয় তাহলে তাকে ঋণাত্মক সহসম্বন্ধ বা বিপরীতমুখীসম্পর্ক বলে।   উদাহরণস্বরুপসমাজে আর্থিক সাচ্চলতা সাথে সাথে আর্থিক দুর্নীতি হ্রাস পায়। এখানে আর্থিক সাচ্চলতা আর্থিক দূর্ণীতি চলক দুটির মধ্যে ঋণাত্মক বা বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান

এতএব, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি চলকের একটির পরিবর্তনে অন্যটির মধ্যেও পরিবর্তন সৃষ্টি  হয়।  তবে যে পরিবর্তন একমুখী বা ঋণাত্মক আবার বিপরীতমুখৗ বা ঋণাত্মক যে কোনটিই হয়ে থাকে

 

সহ-সম্পর্ক  নির্ভরণকের মধ্যে পার্থক্য

সহ-সম্পর্ক নির্ভরণের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।

. দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে যে সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয় তা একই দিকে বা বিপরীত দিকে পরিবর্তনের প্রবণতা পরিমাণ করতে সহ-সম্পর্ক নির্ণয় করতে হয়অপরদিকে, পরিবর্তনশীল দুটি চলকের একটি নির্দিষ্ট কোন মানের উপর ভিত্তি করে অপর চলকের অনুরূপ গড় মানের যে পরিবর্তন হয় তাকে নির্ভরণ বলা হয়

. সহ-সম্পর্কের গাণিতিক বা সংখ্যাত্মক প্রকাশ হলো সহ-সম্পর্ক সহগ বা আংক। নির্ভরণের গাণিতিক বা সংখ্যাত্মক প্রকাশ হলো নির্ভরাংক

. সহ-সম্পর্ক এককমুক্ত বিশুদ্ধ সংখ্যা। নির্ভরণ বিশুদ্ধ সংখ্যা নয়

. সহ-সম্পর্কের উদ্দেশ্য হলো উভয় চলকের মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। নির্ভরণ দ্বারা একটি চলকের উপর অন্যটির কতখানি। নির্ভরশীলতা রয়েছে তা পরিমাপ করা হয়

. সহ-সম্পর্ক দ্বারা পরিবর্তনের কারণ প্রকাশ পায় না। নির্ভরণ দ্বারা একটি চলকের পরিবর্তনই যে অপর চলকের পরিবর্তনের কারণ তা প্রমাণিত হয়

. সহ-সম্পর্ক হলো সম্বন্ধযুক্ত চলকদ্বয়ের আপেক্ষিক পরিমাপ। নির্ভরণ হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটো চলকের পরম পরিমাপ

. সহ-সম্পর্ক দ্বারা দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের ধাপ জানা যায়। নির্ভরণ দ্বারা দুটি চলকের সম্পর্কের প্রকৃতি সম্বন্ধে জানা যায়

৮. সহ-সম্পর্কে উভয় চলকই সমান গুরুত্ব পায় এবং কোনটি নির্ভরশীল বা স্বতন্ত্র তা নির্ধারিত হয় না। নির্ভরণে একটি চলক নির্ভরশীল এবং অন্যটি স্বতন্ত্র চলক হিসেবে নির্ধারিত হয়।

৯. সাধারণত একটি স্কেলার মান (–1 থেকে +1) দিয়ে সম্পর্কের মাত্রা বোঝানো হয়। একটি সমীকরণ বা রেখা (Line of best fit) দিয়ে দুটি চলকের মধ্যে নির্ভরতা প্রকাশ করা হয়।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, সহ-সম্পর্ক ও নির্ভরণ উভয়ই চলকগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হলেও, এগুলোর উদ্দেশ্য, ব্যাখ্যা ও ফলাফল ভিন্ন। সহ-সম্পর্ক কেবল চলকের মধ্যে সম্পর্কের উপস্থিতি ও তার দিক নির্দেশ করে, যেখানে নির্ভরণ চলকগুলোর নির্ভরতার মাত্রা ও পূর্বাভাস প্রদান করে। গবেষণার উদ্দেশ্য অনুসারে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ হবে তা নির্ধারণ করতে পার্থক্যগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী? স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য লিখ

বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী?  স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

উত্তর: নমুনায়ন হলো একটি কৌশল। নমুনা নির্বাচন কর হয় কৌশলের মাধ্যমে। এ কৌশলকে সাধারণত দু'ভাগে ভাল করা যায়। যথা সম্ভাবনা ও নিঃসম্ভাবনা নমুনায়ন। সম্ভাবন নমুনায়ন পদ্ধতির অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে বহুপর্যায়ী নমুনায়ন।

বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী? স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

বহু পর্যায়ী নমুনায়ন: এই পদ্ধতি গুচ্ছ নমুনায়নে একটি বর্ধিত রূপ। এই পদ্ধতিতে প্রথমে সমগ্রকটিকে কয়েকটি গুচ্ছে পরিণত করে দৈব নমুনায়নের সাহায্যে কয়েকটি গুচ্ছ চয়া করা হয়। চয়নকৃত গুচ্ছগুলোকে প্রথম পর্যায়ী একক বলে তারপর পর্যায়ী একক বা গুচ্ছগুলোকে আবারও গুচ্ছে পরিণ করে সেখান থেকে দৈবচয়নের সাহায্যে নতুন কিছু গুচ্ছ চায় করা হয়। অনুরূপভাবে প্রয়োজন অনুসারে কয়েক পর্যায়ে গুল চয়ন করে শেষ পর্যায় থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে নমুনার জন্য একক সংগ্রহ করা হলে তাকে বহু পর্যায় নমুনায়ন বলা হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন ক্রমান্বয়ে তথ্য সমা করে। বিশেষ ক্ষেত্রে বহু পর্যায়ী নমুনায়নের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।


স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

উত্তর: স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়ন সরল চোখে। দেখলে অনেকাংশে একই রকম মনে হলেও এদের মধ্যে কতকগুলো পার্থক্য দৃশ্যমান।

স্তরিত সমুনায়ন ও বহুপর্যায় নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য: নিচে স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্যগুলো নিচে দেওয়া হলো।

১. সমগ্রকের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে বিভক্ত করে যে দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তাকে স্তরিত নমুনায়ন বলা হয়। অন্যদিকে, একাধিক পর্যায় নির্বাচন করার পদ্ধতিতে বহুপর্যায়ী নমুনায়ন বলা হয়।

২. স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে খরচ বেশি পড়ে। অপরদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলক বেশি।

৩. স্তরিত নমুনায়নে নমুনা বিচ্যুতির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়। বহুপর্যায়ী হওয়ার কারণে, নমুনা বিচ্যুতি বেশি হয়।

৪. অধিক প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনার প্রয়োজন হলে স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়নে পর্যায়ের সংখ্যা বেশি হলে বহুপর্যায়ী পদ্ধতির ব্যবহার দেখা যায়।

৫ স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে সমগ্রকের বিশেষ উদ্দেশ্যে কতগুলো অংশে ভাগ করা হয় এবং এ ভাগগুলোই হলো স্তর। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে প্রথমেই সমগ্রককে যে কতগুলো বড় বড় নমুনা এককে  বিভক্ত করা হয়। সেগুলোকে প্রাথমিক নমুনা একক বলা হয়।

৬. প্রতিটি স্তর থেকে দৈবচয়িতভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে প্রাথমিক নমুনা একককে পুনরায় ক্ষুদ্র ক্ষুন্ন অংশে বিভক্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

৭. স্তরিত নমুনায়নের ক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত বৈশিষ্ট্য এর ভিত্তিতে স্তরবিন্যাস করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে অনুসন্ধানের ক্ষেত্র বড় হলেই পর্যায় সৃষ্টি করা হয়।

৮. স্তরিত নমুনায়ন তুলনামূলকভাবে সহজ ও সরল পদ্ধতি। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন জটিল এবং ধাপে ধাপে পরিচালনা করতে হয়।

৯. স্তরিত নমুনায়ন-এ তথ্য সংগ্রহ হয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অনুসারে গঠিত স্তর থেকে। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন-এ তথ্য সংগ্রহ হয় বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে।

১০. স্তরিত নমুনায়ন বেশি নির্ভুল ও সঠিক ফলাফল প্রদান করে, কারণ প্রতিটি স্তরের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন-এ পর্যায় বেশি হলে সঠিকতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়ন উভয়ই সম্ভাব্য নমুনায়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমগ্রককে স্তরে ভাগ করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে বেশি নির্ভুল ও সঠিক ফলাফল দেয়। অপরদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন পদ্ধতি বড় আকারের এবং জটিল সমগ্রকে ধাপে ধাপে ভাগ করে নমুনা সংগ্রহে সহায়ক, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সময়।


সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য লিখ। সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা আলোচনা কর।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য ও সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধাসমূহ

ভূমিকা: সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণ উভয়ই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত চলকের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা ও গতির ধারা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য লিখ। সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা আলোচনা কর।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য: সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্যগুলো নিম্নে দেওয়া হলো-

১. সহসম্বন্ধ এর উদ্দেশ্য হলো দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে পরিবর্তনের কোন যোগসূত্র আছে কি না তা প্রকাশ করা।

অপরদিকে, নির্ভরণ বিশ্লেষণসহ সম্বন্ধপূর্ণ দুটি চলকের একটি অপরটির উপর কতখানি নির্ভর করে তা প্রকাশ করে।

২. সহসম্বন্ধ দ্বারা দুটি চলকের পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক কতটুকু তা পরিমাপ করা গেলেও একটি চলকের পরিবর্তনের তুলনায় অন্য চলকের সম্ভাব্যের কি পরিবর্তন ঘটবে তা নির্ণয় করা যায় না। অন্যদিকে, নির্ভরণ এর সাহায্যে একটি চলকের তুলনায় অন্য চলকে গড় পরিবর্তন কিরূপ হবে তা পরিমাপ করা যায়।

৩. দুটি চলকের সহসম্বন্ধ দ্বারা চলকটির পরিবর্তনের কোন কারণগত সম্পর্ক প্রকাশিত হয় না। নির্ভরণ বিশ্লেষণ দ্বারা একটি চলকের পরিবর্তন যে অন্য চলকের পরিবর্তনের কারণ একথা প্রমাণিত হয়।

৪. সহসম্বন্ধ বিশ্লেষণ ব্যবসায়ের বিভিন্ন কার্যকলাপের বা উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক নিরূপণে ব্যবসায়ীকে সাহায্য করে।

নির্ভরণ বিশ্লেষণ কোন উপাদানের গতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য উপাদানে যে গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয় সে সম্পর্কে যথার্থ পূর্ব অনুমানে পৌঁছাতে ব্যবসায়ীকে সাহায্য করে।

৫. সমসম্বন্ধের সংখ্যাত্মক প্রকাশকে সহসম্বন্ধ অংক বলে। নির্ভরণের সংখ্যাত্মক প্রকাশকে নির্ভরাঙ্ক বলে।

একই বা বিপরীত দিকে দুই বা ততোধিক চলকের পরিবর্তিত হওয়ার প্রবণতাকে সহসম্বন্ধ বলে। আর একটি চলকের প্রভাবে অন্য চলকের মধ্যে পরিবর্তন সাধিত হলে তা নির্ণয় করার পদ্ধতি হলো নির্ভরণ। এদের মধ্যে সামান্য কিছু মিথ্যা থাকলেও আসলের পাল্লাটাই ভারী।

সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বা সমস্যাসমূহ তুলে ধর।

দুটি চলক পরস্পরের মধ্য কিভাবে এবং কি পরিমানে সম্বন্ধযুক্ত সেটা সহসম্বন্ধ নির্দেশ করে। সামাজিক পরিসংখ্যানে একাধিক চলকের মধ্য পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ে সহসম্বন্ধ  একটি আলোচিত পরিসংখ্রানিক পদ্ধতি।

সহসম্বন্ধ সহগ: দুটি চলকের মধ্য কি পরিমাণে সহসম্বন্ধ বিদ্যমান সেটা জানার প্রয়োজন হয়। দুই ও ততোধিক পরিবর্তনশীল চলকের সম্পর্কের প্রকৃতি এবং পরিমাণের গানিতিক পরিমাণকে সহসম্বন্ধ সহগ বলে।যা r প্রতীকের সাহায্য প্রকাশ করা হয়।

সহসম্বন্ধ  সহগের অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা

সহসম্বন্ধ  সহগের মান ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয়ই হতে পারে। তবে এর মান -১ থেকে +১ এর মধ্য সীমাবদ্ধ থাকে। নিম্নে সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা দেওয়া হয়।

  • পরিবর্তকের সাধারণ সম্বন্ধ নির্দেশ করে মাত্র। এর সঠিকতা নিরুপণ করতে পারে না।
  • সহসম্বন্ধ পদ্ধতি একটি জটিল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কোন বিষয়ে ভূল ব্যাখ্যা প্রদান করা হতে পারে।
  • সহসম্বন্ধ  নির্ণয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কেননা, এটি নির্ণয় পদ্ধতি জটিল।
  • সহসম্বন্ধ কোন দফার প্রান্তিক মান দ্বারা প্রভাবিত।
  • অনেক সময় সহসম্বন্ধ  সহগের তুলনায় নির্ভরণের প্রয়োজন হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, সহসম্বন্ধের বহুবিধ সুবিধা থাকলেও ক্ষেত্রে বিশেষ এর কতকগুলো অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। অসুবিধাগুল্যেই মূলত সীমাবদ্ধতা। তবে সুবিধার তুলনায় এর অসুবিধাগুলো খুবই নগণ্য।

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ আলোচনা কর

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ

উত্তর: নমুনায়ন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সমগ্রকের একটি অংশ পরীক্ষা করে সমগ্রক সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়। সামাজিক গবেষণায় নমুনায়ন বা Sampling এর ভূমিকা অপরিসীম। কারণ, গবেষণায় সমগ্রক হতে তথ্যসংগ্রহ অনেক সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। নমুনায়ন বা Sampling এই ব্যয়ভার এবং সময় সামাজিক গবেষণায় দুটোই কমিয়ে এনেছে।

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ আলোচনা কর

নমুনায়ন: বিভিন্নভাবে নমুনায়নের সংজ্ঞায়ন করা যায়। বিভিন্ন মনীষী, বিজ্ঞানী নমুনায়নের সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন। নিচে কয়েকজন গবেষক এর সংজ্ঞা আলোকপাত করা হলো। যথা-

Goode and Hatt বলেন, "A sample, as the name implies is a smaller representation of a large whole."

P.V. Young বলেন, "পরিসংখ্যানিক নমুনা হচ্ছে কোনো সমষ্টির একটি ক্ষুদ্র অংশ, যা সমগ্রক থেকে চয়ন করা হয়ে থাকে।"

নমুনায়নের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে R. Babbie বলেছেন, "নমুনায়ন হলো সমষ্টি এককের একটি বিশেষ অংশ যাকে পর্যবেক্ষণ করে গোটা সমষ্টি এককের প্রকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করা হয়।"

কোনো জরিপের বিষয়বস্তুর একটি প্রতিনিধিত্বশীল মূলক অংশকে নমুনায়ন বলে বিবেচিত হয়।

এ প্রসঙ্গে W.G. Good - and P.K. Hatti বলেন যে, "আক্ষরিক অর্থে নমুনায়ন হলো - বৃহৎ সমষ্টির প্রতিনিধিত্বশীল অংশ বা ক্ষুদ্রাংশ।"

C.R. Kothari তাঁর রচিত 'Research methodology method and technique' নামক গ্রন্থে বলেন যে, "A Sampling design is a definite plan for obtain a sample from a given population. It refers to the technique or the procedure the researcher would adopt in selecting items for the sample." অর্থাৎ বলা যায় যে, যে পদ্ধতির সাহায্যে নমুনা নির্বাচন করা হয়, তাকে নমুনায়ন বা Sampling বলে।

সুতরাং বলা যায়, এই নমুনায়ন হচ্ছে একটি পরিসাংখিক পদ্ধতি যে পদ্ধতির মাধ্যমে সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অংশ বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান বা পরীক্ষা করে সমগ্রক সম্পর্কে - সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সে পদ্ধতির নামই নমুনায়ন বা Sampling বা নমুনা পদ্ধতি।

নমুনায়নের প্রকারভেদ লিখ

(ক) দৈবচয়িত নমুনায়ন পদ্ধতি: যে পদ্ধতিতে তথ্য বিষ্বের প্রতিটি একক বা উপাদান নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা সমান থাকে বা স্বাধীনভাবে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা সমান থাকে তাকে দৈবচয়িত নমুনায়ন বা সম্ভাবনা নমুনায়ন বলে। দৈবচয়িত নমুনায়নের শ্রেণিবিভাগগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

১. সরল দৈব নমুনায়ন: দৈবচয়িত নমুনায়ন পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও সরল পদ্ধতি হলো সরল দৈব নমুনায়ন। এটি সরল নমুনায়ন পদ্ধতির ভিত্তিস্বরূপ। এ পদ্ধতিকে আবার দু ভাগে ভাগ করা যায়।

(ক) লটারি পদ্ধতি: এ পদ্ধতিতে তথ্য বিশ্বের N সংখ্যক একক হতে পুনঃস্থাপন করে অথবা পুনঃস্থাপন না করে উভয়ভাবে নমুনা নির্বাচন করার পদ্ধতিকে বলা হয় লটারির মাধ্যমে সরল দৈব নমুনায়ন।

(খ) দৈব সংখ্যার সারণী পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে প্রথম তথ্যর এককগুলোকে ক্রমিক নং অনুসারে সাজাতে হয়। সারাবিশ্বের আকার যত দৈব সংখ্যা সারণী হতে তত অংকের একটা কলাম বেছে নিতে হবে। তথ্যবিশ্বের আকারের সর্বোচ্চ গুণিতক গণ্য করে গুণিতকের অধিক দৈবসংখ্যা বাতিল করতে হবে। তারপর নির্বাচিত দৈবসংখ্যাকে তথ্যবিশ্বের আকার দিয়ে ভাগ করে যে ভাগশেষ পাওয়া যায় সেই সংখ্যানুযায়ী ক্রমিক নং এককই হবে নির্বাচিত একক। ভাগশেষ শূন্য হলে তথ্যবিশ্বের শেষ একক নির্বাচিত একক। একই নম্বর যুক্ত একক দুবার নির্বাচিত হলে সে নির্বাচন বাতিল করতে হবে।

২. স্তরকৃত দৈব নমুনায়ন: কোনো সমগ্রককে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভক্ত করে প্রতিটি বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় নমুনা দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে স্তরকৃত দৈব নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে সমগ্রক বিশেষ উদ্দেশ্য কতকগুলো অংশভাগ করা হয়। এ ভাগগুলোকে বলা হয় স্তর। প্রতিটি স্তর হতে নমুনা দৈবচয়ন ভাবে সংগ্রহ করা হয়।

৩. গুচ্ছে নমুনায়ন: গুচ্ছ নমুনায়ন হলো এমন নমুনায়ন পদ্ধতি যেখানে সমগ্রক থেকে নমুনা উপাদান বা একটি করে নির্বাচন না করে দল বা গুচ্ছে হিসাবে নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি এ সমগ্রকের ক্ষুদ্র প্রতিনিধিত্বকারী হতে নেয়া হয়।

৪। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন: একাধিক পর্যায়ে নমুনা নির্বাচন করার পদ্ধতিকে বহুপযোগী নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে প্রথম তথ্য বিশ্বকে কতকগুলো বড় বড় নমুনা এককে বিভক্ত করা হয়। অতঃপর প্রতিটি বড় নমুনাকে আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়।

৫. কোটা নমুনায়ন:  কোটা নমুনায়ন কেবল সরকারি চাকুরি ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দৈবচয়িত প্রক্রিয়া থেকে নিরুপণ করা হয়। সরকার প্রতিটি এলাকা বা গোষ্ঠীকে কোটাভুক্ত করে দৈবচয়িত নমুনায়ন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এলাকা বা বিশেষ গোষ্টিকে কোটাভুক্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে এটিকে কোটা নমুনায়ন বলে।

(খ) উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়ন: যে পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নমুনা নির্বাচন করেন, তাকে উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী গবেষণার উদ্দেশ্য প্রতি লক্ষ্য রেখে নমুনা নির্বাচনে তার নিজের বিচার পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে না।

এছাড়া অন্যান্য আরো কিছু নমুনায়ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-

১. পর্যায়ক্রমিক নমুনায়ন।

২. থোকে নমুনায়ন;

৩. অন্তঃপ্রবেশ নমুনায়ন ও

৪. রেখা নমুনায়ন।